SATT ACADEMY

New to Satt Academy? Create an account


or
Log in with Google Account

সংস্কৃত - দ্বিতীয় অধ্যায় - সন্ধিপ্রকরণম্

সন্ধি: অত্যন্ত কাছাকাছি অবস্থিত দুটি বর্ণের পরস্পর মিলনকে সন্ধি বলা হয়। যেমন- মহা+ঈশঃ =
মহশেঃ। এখানে 'মহা' পদের অন্তস্থিত 'আ' এবং 'ঈশঃ' পদের পূর্বস্থিত 'ই' মিলিত হয়ে 'এ' হয়েছে।

সন্ধির অপর নাম সংহিতা।

সন্ধির শ্রেণীবিভাগ : সন্ধি দুই প্রকার- স্বরসন্ধি বা অসন্ধি এবং ব্যঞ্জনসন্ধি বা হসন্ধি। বিসর্গসন্ধি
ব্যঞ্জনসন্ধিরই অন্তর্গত।

ময়সন্ধি বা অসন্ধি: ফরবর্ণের সঙ্গে সরবর্ণের মিলনকে স্বরসন্ধি বা অসন্ধি বলা হয়। যেমন- দেব +
আলয় = দেবালয়ঃ। এখানে 'দেব' পদের অন্তস্থিত অ এং 'আলয়ঃ' পদের প্রথমে অবস্থিত আ মিলিত হয়ে
আ হয়েছে।

ব্যঞ্জনসন্ধি বা হসন্ধি: ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে ব্যঞ্জনবর্ণের অথবা সরবর্ণের মিলনকে ব্যঞ্জনসন্ধি বা হসি
বলে। যেমন- চলৎ + চিত্র = চলচ্চিত্র। এখানে চলৎ পদের অন্তস্থিত ব্যঞ্জনবর্ণ (ত্)-এর পর
ব্যঞ্জনবর্ণ চ থাকায় ও স্থানে চূ হয়েছে এবং উভয়ের মিলনে হয়েছে চ্চ। বাক্ + ঈশঃ বাগীশঃ। এখানে
=
'বাক্' শব্দের অন্তস্থিত ব্যঞ্জনবর্ণ 'ক্'-এর পর স্বরবর্ণ 'ঈ' থাকায় ক্ স্থানে গু হয়েছে।

বিসর্গসন্ধি: বিসর্গের সঙ্গে জ্বর অথবা ব্যঞ্জনবর্ণের মিলনকে বিসর্গসন্ধি বলে। যেমন- পুনঃ + আপতঃ =
পুনরাগতঃ। এখানে 'পুনঃ পদের অন্তস্থিত (বিসর্গ)-এর পরে স্বরবর্ণ 'অ' থাকায় বিসর্গস্থানে র হয়েছে।
কঃ + চিৎ = কশ্চিৎ। এখানে 'কঃ' পদের অন্তস্থিত বিসর্গের পরে 'চ'- এই ব্যঞ্জনবর্ণ থাকায় বিসর্গস্থানে
"শ" হয়েছে।

সন্ধির প্রয়োজনীয়তা : সন্ধির দ্বারা শব্দগঠন, বাক্যসংক্ষেপণ ও শ্রুতিমধুরতা সম্পাদিত হয়।
সন্ধির অপরিহার্যতা একপদে ধাতু বা ধাতুঘটিত শব্দের পূর্বে উপসর্গের যোগে, সমাসে এবং সূত্রে সি
অবশ্যকরণীয়।

স্বরসন্ধির নিয়ম

অ-কার কিংবা আ-কারের পর অ-আর কিংবা আ-কার থাকলে উভয়ে মিলিত হয়ে আ-কার হয়,

আ-কার পূর্ববর্ণে যুক্ত হয় :

অ+অ= আ

নীল + অশ্বরম্ =
নীলাম্বরম্

হিম + আলয়ঃ = হিমালয়ঃ

অ + আ = আ

মহা + অ = মহ

আ + অ = আ

আ + আ = আ

মহা + আশয়ঃ + মহাশয়ঃ

২। হ্রম ই-কার কিংবা দীর্ঘ ই-কারের পর হ্রম ই-কার কিংবা দীর্ঘ ই-কার থাকলে উভয়ে মিলিত হয়ে দীর্ঘ
ঈ-কার হয়, দীর্ঘ ঈ-কার পূর্ববর্ণে যুক্ত হয়। যেমন-

ই + ই =

কবি + ইন্দ্ৰঃ = কবীন্দ্রঃ

এই + ঈ = ঈ

গিরি + ঈশঃ = গিরীশঃ

ঈ + ই = ঈ

মহী + ইন্দ্ৰঃ = মহীন্দ্ৰঃ

ঈ + ঈ = ঈ

লক্ষ্মী = ঈশঃ = লক্ষ্মীশঃ

01
জয় উ-কার কিংবা দীর্ঘ উ-কারের পর হ্রয় উ-কার কিংবা দীর্ঘ ঊ-কার থাকলে উভয়ে মিলে দীর্ঘ
উ-কার হয়, ঊ-কার পূর্ববর্ণে যুক্ত হয়। যেমন-

বিধু + উদয়ঃ বিধৄদয়ঃ

লঘু + ঊর্মি = = লঘূর্মিঃ

উ+ উ = উ

বধূ + উৎসবঃ = বধূৎসবঃ

উ+ উ =উ

ভূ + ঊর্ধ্ব =

উ + উ =উ

81
অ-কার কিংবা আ-কারের পর তুষ ই-কার কিংবা দীর্ঘ ঈ-কার থাকলে উভয়ের মিলনে এ-কার হয়।
এ-কার পূর্ববর্ণে যুক্ত হয়। যেমন-

অ + ই = এ

আ + ই = এ

অ + ঈ = এ

আ + ঈ = এ

অ + উ = ও

দেব ইন্দ্ৰঃ দেবেন্দ্রঃ

মহা = ইন্দ্ৰঃ = মহেন্দ্ৰ

গণ ঈশঃ গণেশঃ

মহা + ঈশ্বরঃ= মহেশ্বরঃ

অ-কার কিংবা আ-কারের পর হ্রয় উ-কার কিংবা দীর্ঘ ঊ-কার থাকলে উভয়ে মিলিত হয়ে ও-কার হয়,

ও-কার পূর্ববর্ণে যুক্ত হয়। যেমন-

চন্দ্র + উদয়ঃ = চন্দ্রোদয়ঃ

আ + উ = ও

গঙ্গা + উদকম্ = গঙ্গোদকম্

অ + উ = ও

গৃহ + ঊর্ধ্বম্ = গৃহোধধম্

আ + উ = ও

গঙ্গা + ঊর্মিঃ = গঙ্গোর্মিঃ।

অ-কার কিংবা আ-কারের পর ঋ-কার থাকলে উভয়ে মিলিত হয়ে অর্থ হয়। অর্-এর 'অ' পূর্ববর্ণে যুক্ত

হয় এবং বৃ রেফ (') রূপে পরবর্ণের মস্তকে যায়। যেমন-

অ + খ = অব্

সপ্ত + ঋষিঃ = সপ্তর্ষিঃ

অ + ঋ = অর্

আ + = অ

দেব + ঋষিঃ = দেবর্ষিঃ

মহা + ঋষিঃ মহর্ষিঃ

=

আ + ব = অর্

রাজা + ঋষিঃ = রাজর্ষিঃ

91
অ-কার কিংবা আ-কারের পর এ-কার কিংবা ঐ-কার থাকলে উভয়ের মিলনে ঐ-কার হয়, ঐ কার

পূর্ববর্ণে যুক্ত হয়। যেমন—

অ + এ = ঐ

+4=2

এক + এক = একৈকম

সদা + এর = সদৈব

অ + ঐ= ঐ

মত + ঐক্যম্ = মতৈকা

আ + =

মহা + ঐশ্বৰ্যম্ = মহৈশ্বৰ্যম

অ-কার কিংবা আ-কারের পর ও-কার কিংবা ঔ-কার থাকলে উভয়ে মিলিত হয়ে ঔ-কার হয়,
-কার

পূর্ববর্ণে যুক্ত হয়। যেমন-

জল + ত =

আ + ও = ঔ

মহা ঔষধিঃ = মহৌষধিঃ

2=2+2

গত + ঔৎসুক্যম্ = গভৌৎসুক্যম্

আ = ঔ = ঔ

মহা + ঔদার্যম্ = মহৌদার্থ

৯। হ্রষ ই-কার কিংবা দীর্ঘ ঈ-কারের পর যদি হ্রম-ইকার কিংবা দীর্ঘ ঈ-কার ভিন্ন অন্য স্বরবর্ণ থাকে, তবে
হ্রয় ই-কার বা দীর্ঘ ঈ-কার স্থানে 'যূ' হয়। উক্ত য্ য-ফলা (1)-রূপে পূর্ববর্ণের সঙ্গে যুক্ত হয় এবং
পরবর্তী স্বরবর্ণ খৃ-কারে যুক্ত হয়। যেমন-

ই+অ= ই-স্থানে হ্

ই+উ = ই-স্থানে

যদি + অপি = যদ্যপি

অভি + উদয়ঃ = অভ্যুদয়ঃ

ই + উ = ই-স্থানে স্

প্রতি + ঊষঃ= প্রত্যূষঃ

ই + এ = ই-স্থানে ঘৃ

প্রতি + এক = প্রত্যেকম্

ঈ + আ = ঈস্থানে ঘৃ

ঈ + এ = ঈস্থানে ঘূ

দেবী + আগতা দেব্যাগতা

বাপী + এষা বাপ্যেষা

প্রশ্নমালা

১। সঠিক উত্তরটিতে টিক (/) চিহ্ন দাও :

(ক) বিধু + উদয়ঃ = = বিষ্ণুদয়ঃ/বিহৃদয়ঃ/বিষ্ণুদয়ঃ/বিদ্ধিদয়ঃ ।

(খ) অ-কার এবং ও-কার মিলে হয় এ-কার/ঐ-কার / ঔ-কার/ও-কার।

(গ) নিস্তারঃ = নিঃ+ তারঃ/নি +তারঃ/নী + তারঃ/নির +তারঃ।

(ঘ) মনোহরঃ=মন + হরঃ / মনোহরঃ / মনঃ + হরঃ/মনে + হরঃ।

(ঙ) উষ্মবর্ণ পরে থাকলে পদের অন্তস্থিত ম্ স্থানে হয় বিসর্গ/চন্দ্রবিন্দু/অনুষার/ন।

২। শূন্যস্থান পূরণ কর :

(ক) + জীবেৎ = যাবজ্জীবেৎ। (খ) উৎ + হতঃ । (গ) অনু + অন্বেষণম্। (ঘ) - +

ঈশঃ = বাগীশঃ। (ঙ) 1 + ছায়া বৃক্ষচ্ছায়া। (চ) পূর্ণঃ + চন্দ্ৰঃ ==
=

৩। সম্মিবিচ্ছেদ কর :

মহাশয়ঃ, দেবেন্দ্রঃ, মহেশ্বরঃ, রাজর্ষি, স্বাগতম, গায়ক, উচ্চারণম্, উদ্ধার, ভদ্ভুতা, বহিষ্কৃতঃ,

নমস্কারঃ অতএব ।

৪। স্যি কর :

এক + একম্, প্রতি + ঊষঃ, ভৌ + উঃ, উৎ + লেখঃ, পরি + ছেদঃ, নিঃ + তারঃ, নিঃ + রবঃ,
মনঃ + হরর, মুনেঃ + ছাত্রাঃ।

নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

(ক) স্বরসন্ধির অন্য নাম কি?
(খ) ব্যঞ্জনসন্ধির অন্য নাম কি?

(গ) সন্ধির প্রয়োজনীয়তা কি?

(ঘ) কোন কোন ক্ষেত্রে সন্ধি অপরিহার্য?

(ঙ) অ-কারের পর আ-কার থাকলে উভয়ে মিলিত হয়ে কি হয়?

(চ) অ-কারের পর ও-কার থাকলে উভয়ে মিলিত হয়ে কি হয়

(ছ) ত্-এর পর চ্ থাকলে ভূ-স্থানে কি হয়?

যথাসম্ভব সন্ধি ব্যবহার করে সংস্কৃত অনুবাদ কর :

(ক) দেবী এলেন। (খ) আচার্যের আদেশ। (গ) প্রভাতে সূর্যের উদয়। (ঘ) তিনি আমার মাথার মণি ।
(ঙ) পূর্ণ চন্দ্র। (চ) ঘোড়া দৌড়ায়। (ছ) দুর্জন থেকে ভয়।

বাংলায় অনুবাদ কর :

(ক) স আগতঃ। (খ) শিশুইসতি। (গ) প্রাতভ্রমণং কুরু। (ঘ) কমলমিব নয়নম্ (ও) পিত্রাদেশং পালয়।
(চ) রামঃ সীতায়াঃ অন্বেষণ, চকার।

৮।
বিসর্গসন্ধি কাকে বলে? উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দাও।

স্বরসস্থি ও ব্যঞ্জনসঘির পার্থক্য ব্যাখ্যা কর।

১০। সন্ধি কাকে বলে? উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দাও।

 

 

Content added By
Promotion
Content for the offcanvas goes here. You can place just about any Bootstrap component or custom elements here.